পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মীরা

ছবি
 কালচক্রের গতির নিরিখে ইতিহাস যে কখন কিংবদন্তি হয়ে যায়, তা নির্ণয় করা বড় দুষ্কর। দ্বাপর যুগের দ্বারকার একচ্ছত্র চক্রবর্তী সম্রাট এই গতিতেই তাঁর মানবীয় কর্ম সমূহকে ছাপিয়ে ঈশ্বর হয়ে উঠেছেন। তাঁকে কেন্দ্র করে রচিত সাহিত্যের সীমা নাই। ঠিক তেমন ভাবেই হয়ত মোঘল আমলের এক রাজপুত রাজকন্যা আজ স্থান পেয়েছেন মানুষের পূজা স্থলে। যদিও দেবতা বিজ্ঞানের অতি ক্ষীণ বোধের থেকেই মনুষ্যে দেবত্ব আরোপের প্রবণতা প্রবল হয়। মনুষ্যের মধ্যে দৈব গুণাবলী থাকা অবিশ্বাস্য নয়। কিন্তু সাক্ষাৎ দেবতা হয়ে ওঠা যেকোনো মানুষের পক্ষেই অসম্ভব। সূর্যযানের রশ্মিমণ্ডল মনুষ্য বাসযোগ্য নয়। বৈদিক বাঙময়ের কেন্দ্রে নিহিত তত্ত্ব সমূহের ঐকান্তিক বিশ্লেষণ করে আচার্য সায়ন তাঁর বেদের উপক্রমণিকাতে এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাহলে কি দেবতুল্য মনুষ্য পূজ্য নন? অবশ্যই পূজ্য; মান্য; অনুসরণীয় এবং কিছু ক্ষেত্রে অনুকরণীয়ও। বিচারের অসম্পূর্ণতা তখন তৈরি হয়, যখন উক্ত কর্তব্যগুলি আমরা কেবল দেবতার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে ধরে নিই।   পুজ্যতা এবং দেবত্ব পৃথক। এবং সেই পার্থক্য বোধের জন্য যেটুকু অনুশীলন এবং অধ্যয়নের প্রয়োজন, দীর্ঘ প্রায় ৯০০ বছরের যবন এবং ম্

কুরুক্ষেত্র গল্প না ইতিহাস?

ছবি
अर्णांसि चित्पप्रथाना सुदास इन्द्रो गाधान्यकृणोत्सुपारा । শাস্ত্রবাক্যে সংশয় করা আমাদের ছোটবেলা থেকে মজ্জায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে শাস্ত্র বাক্যে অচল বিশ্বাস পরমার্থ সাধনের একমাত্র পন্থা, সেখানে আমাদের চিরাচরিত ব্রিটিশ ঘেঁষা শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের সেই শাস্ত্রবাক্যেই চূড়ান্ত অবিশ্বাসের বীজ বপন করে দিয়েছে। এর ফলশ্রুতি স্বরূপ আমরা বেদবাক্য, আগমবাক্য, গুরুবাক্যের ওপর এক লহমায় চূড়ান্ত বিশ্বাস আনতে পারি না। কিন্তু এই ধরণের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমাদের একটি উপকার হয়েছে। উপকারটি হল, যে আমরা বেদবাক্য, আগমবাক্য, গুরুবাক্যের ওপর এক লহমায় চূড়ান্ত বিশ্বাস আনতে পারি না। প্রশ্ন করি। উত্তর খোঁজার জন্যেই প্রশ্ন করি। তাই নিতান্ত অভদ্র না হলে, আমাদের প্রশ্নগুলো "পরিপ্রশ্নেন সেবয়া" ই হয়ে থাকে। সেই উত্তর পাওয়ার পরে আমাদের যে বিশ্বাসটি জন্মায় সেটি হয় একেবারে মৈনাক পর্বতের মত; নিরন্তর অজস্র গগনচুম্বী তরঙ্গের মাঝেও নিশ্চল। শাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য আমাদের এই মনোবৃত্তি আদর্শ নয়। কিন্তু তাই বলে শাস্ত্র অধ্যয়ন থেকে আমরা বিরত থাকিনি। "ব্রাহ্মণঃ নিঃশ্রেয়সঃ স্বাধ্যায়ঃ অধ্যেতব্যঃ" এই শ্রুতিবাক্যের অ